কফিতে ক্যাফেইন রয়েছে যা মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। শীতের সকালে কম-বেশি সবারই বিছানা থেকে উঠতেই মন চায় না। আবার সকাল সকাল উঠে পড়লেও ঠাণ্ডায় কোনো কাজ করতে ইচ্ছা করে না। এ সময় উষ্ণতা পেতে এবং চনমনে থাকতে গরম পোশাক ব্যবহার জরুরি। তবে শুধু পোশাক পড়লেই তো হবে না, খেতে হবে এমন কিছু খাবারও যা শরীর গরম রাখতে সাহায্য করবে। কাজেই আর দেরি না করে আজই আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার যোগ করুন।
ভারতের লাইফস্টাইল বিষয়ক গণমাধ্যম বোল্ডস্কাই অবলম্বনে শীতে শরীর গরম করা খাবারের তালিকা নিম্নরূপ-
১) মধু
শীতে শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করে মধু। শুধু শরীর গরম রাখা নয়, বরং মধু সেবন করলে শীতকালীন সর্দি, জ্বর, কাশির হাত থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে অবশ্য প্রতিদিন এক চামচ মধু আপনার অনেক শারীরিক সমস্যা মেটাবে।
২) কলা
কলায় ভিটামিন বি, ম্যাগনেশিয়াম ছাড়াও একাধিক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এই খাবারটি শরীরকে গরম রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন কলা খেলে থাইরয়েডের সমস্যাও দূর হয়। এ ছাড়া মুড ভালো রাখতে ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে কলা।
৩) আদা চা
গরম গরম আদা চা খেলে দেখবেন আর ঠাণ্ডা লাগছে না। আদায় রয়েছে ডায়োফোরেটিক বৈশিষ্ট্য, যা শরীরকে গরম করে। আবার হজম ক্ষমতা ঠিক রাখতেও সাহায্য করে আদা।
৪) কফি
কফিতে ক্যাফেইন রয়েছে যা মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। আর মেটাবলিজম বাড়লে শরীরের তাপমাত্রাও বাড়বে। তাই দিনে এক-দুবার গরম কফির কাপে চুমুক দিতেই পারেন।
৫) ওটস
শীতের দিনের সকালটা এক বাটি ওটস দিয়ে শুরু করতে পারেন। এতে প্রচুর ফাইবার থাকে যা কোলেস্টেরলের মাত্ৰা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে শরীরও থাকবে গরম।
৬) রেড মিট
শরীরে আয়রনের মাত্রা কমে গেলে হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যায়। কাজেই শীতে শরীর গরম রাখতে রেড মিট রাখার বিকল্প নেই। কারণ এতে প্রচুর আয়রন থাকে। আর আয়রন শরীরের অক্সিজেনের প্রবাহকে ঠিক রাখে। খাসির মাংসে ভিটামিন বি-১২ থাকে, এটি শরীর গরম রাখার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৭) মাটির নীচের সবজি
মাটির নীচের সবজি আমাদের শরীরের পক্ষে ভীষণ উপকারি। মুলো, শালগম, মিষ্টি আলু- এসব খেলে প্রচুর এনার্জি পাওয়া যায়। মাটির নীচের যেকোনো সবজিতে থাকে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং পটাশিয়াম। এসব সবজি শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে।
৮) সর্ষে
সর্ষের তেল, কাঁচা সর্ষে বা সর্ষে শাক সবই শরীর গরম রাখার জন্য উপযুক্ত। সর্ষের তেল দিয়ে মালিশ করলেও শরীর থাকবে গরম।
৯) তিল
শীতকাল পড়লেই বিভিন্ন দোকানে তিলের নাড়ু বিক্রি হয়। শীতকালে তিল খাওয়া দরকার, কারণ তিল শরীর গরম রাখে। এ ছাড়া এতে থাকে ক্যালসিয়াম ও আয়রন।
১০) গুড়
চিনির চেয়ে গুড় বেশি স্বাস্থ্যকর। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম থাকে। শীতকালে গুড় খেলে তা শরীরকে তাপ উৎপন্ন করতে সাহায্য করে এবং ভেতর থেকে শরীর গরম রাখে।
১১) দেশি ঘি
আয়ুর্বেদশাস্ত্র অনুযায়ী, ঘি যেমন তাড়াতাড়ি হজম হয় তেমন শরীরকে গরম রাখে। এটি কোষ্টকাঠিন্য রোধ করতে, দেহের টক্সিন বের করতেও সাহায্য করে। আবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও ভূমিকা রাখে ঘি। তাই শীতে ডালের বাটিতে এক চামচ ঘি বা সবজিতে একটু ঘি দিতেই পারেন।
১২) তুলসি
তুলসির অনেক গুণ আছে যা শরীরের পক্ষে উপকারি। এতে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি এবং আয়রন থাকার কারণে এটি শীতকালে সর্দি, কাশি, জ্বর থেকে শরীরকে রক্ষা করে। আবার তুলসীর কয়েকটা পাতা আমাদের শরীরকে গরম রাখতেও ভূমিকা রাখে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত