লালমোহন প্রতিনিধিঃ ভোলার লালমোহন থানায় সাংবাদিকের দায়েরকৃত মামলার আসামি সাবেক দুই চেয়ারম্যানসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, লালমোহন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হোসেন হাওলাদার, তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াদ হোসেন হান্নান। অপর দুজন হলেন লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের লোকমান হোসেন ও রমাগঞ্জ ইউনিয়নের আজিজ।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোলা পৌর শহর এলাকা থেকে আসামি রিয়াদ হোসেন (হান্নান) ও হোসেন হাওলাদার সহ ৪ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গেলো ২৫ জুলাই বুধবার রাত ১০ টার দিকে দি বাংলাদেশ টুডে পত্রিকার চরফ্যাশন উপজেলার সাংবাদিক তৈয়্যবুর রহমান লালমোহন আসার পথে ফুলবাগিচা রাস্তায় এই দুই চেয়ারম্যানসহ প্রায় ২০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী সাংবাদিকের গতিরোধ করে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা দেশীয় বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। তৈয়্যবুর রহমান নিজেকে বাঁচাবার চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা তার ডান হাতের সিনার নিচে পিঠে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায়। মুহূর্তের মধ্যে সে মাটিতে লুটে পড়ে। এরপরও সন্ত্রাসীরা ক্ষান্ত হননি, তারা তৈয়বুরের মুখ থেকে তিনটি দাঁত উগলে ফেলে মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এরপর স্থানীয় লোকজন তৈয়্যবুর রহমানকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় বুধবার তৈয়্যবুর রহমান বাদী হয়ে সাবেক দুই চেয়ারম্যানসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০ জনের নামে লালমোহন থানায় মামলা দায়ের করেন।
বর্তমানে আহত সাংবাদিক তৈয়্যবুর রহমান উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এ ব্যাপারে লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, সাংবাদিক তৈয়্যবুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করায় গোপন সূত্রের মাধ্যমে দুই সাবেক চেয়ারম্যানকে ভোলা থেকে ও অপর দুই আসামীকে লালমোহনের বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার সকালে তাদেরকে ভোলা কোর্টে প্রেরণ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পূর্ব থেকে আরো একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত