মোংলায় সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে জনবসতি এলাকায় লাইসেন্সবিহীন করাত কল স্থাপন করায় তিনটি কলের সকল যন্ত্রপাতি খুলে জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগ। ওই তিনটি করাত কলের মালিকদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমলেশ মজুমদার, পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এনামুল হক, চাঁদপাই ষ্টেশন অফিসার ওবায়দুর রহমান, জিউধারা ষ্টেশন অফিসার নুরুল আফসার ও থানার সেকেন্ড অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের মোল্লারহাট-সাহেবেরমাঠ এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় অভিযানকারীদেরকে ওই এলাকার সমিল মালিক মহসিন মুসল্লী, আবু বকর মোল্লা ও বোরহান মোল্লা তাদের বৈধ কাগজপত্র দেখা পারেনি। ফলে তাৎক্ষনিক অভিযানকারীরা সমিল তিনটির মেশিনপত্র খুলে জব্দ করে। জব্দকৃত মালামাল জিউধারা ফরেস্ট অফিসে রাখা হয়েছে।
শনিবার বিকেলে জিউধারা ষ্টেশন অফিসে ওই তিন সমিল মালিক মহসিন মুসল্লী, আবু বকর মোল্লা ও বোরহান মোল্লার বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করেছে বন কর্মকতার্ নুরুল আফসার। তবে সমিল মালিকদের কেউ আটক হয়নি।
পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এনামুল হক বলেন, সুন্দরবন উজাড় ও বনের গাছ পালা রক্ষায় বন সংলগ্ন ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাত কল স্থাপন নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ সীমানার মধ্যে লাইসেন্সবিহীন অবৈধভাবে করাত কল স্থাপনের কারণে তিনটি সমিলের সকল মেশিনারী জিনিসপত্র খুলে জব্দ ও মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
এদিকে বন বিভাগের হিসাব মতে মোংলায় ২৭টি করাত কলের মধ্যে তিনটি কল জব্দ ও বন্ধ করে দেয়ার পর আরো ২৪টি কল চালু রয়েছে। এগুলোর মধ্যে দুই একটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আর বাকীগুলোর অনুমোদন রয়েছে বলে দাবী করেছে বনবিভাগ।
সকল কলগুলোই সুন্দরবন থেকে ১০ কিলোমিটারেরই মধ্যে তাহলে চালু কলগুলো কিভাবেই অনুমোদন পেল এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত