এইচ এম জাকিরঃ ভোলা-২ (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুলকে প্রদান করে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (২১ আগষ্ট) সকালে দৌলতখান থানায় মামলাটি দায়ের করের উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুল মালেক মাষ্টার।
দৌলতখান থানা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালের দিকে এ মামলার বাদী নিজেই থানায় উপস্থিত হয়ে তার কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ এনে এই মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে সাবেক এমপি আলী আজম মুকুলকে প্রধান আসামি করা ছাড়াও দৌলতখান পৌরসভার মেয়র জাকির হোসেন তালুকদার, তার ছেলে মো. আকাশ আহমেদ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনজুর আলম ও ভোলা জজ কোর্টের সাবেক পিপি মো. কিরন তালুকদার সহ ৫ জনকে এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়। এর বাহিরেও অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরতিরিশ জনকে।
এতে বলা হয়েছে, চলতি মাসের ৩ আগস্ট উল্লেখিত আসামিরা একত্রিত হয়ে দলীয় কর্মকান্ডের বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বাদীর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এতে করে বাদি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিরা বাদীকে হত্যার হুমকি দেয়া সহ বিভিন্নভাবে হেনস্তা করেন।
এদিকে সাবেক এমপি আলী আজম মুকুল এর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হওয়ার ঘটনাটি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তার নির্বাচনী এলাকা দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিনসহ পুরো ভোলা জেলায় শুরু হয় তার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড়।
কেউ কেউ বিষয়টিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে আখ্যা দিলেও অধিকাংশরাই বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, শুধু ১০ লাখ টাকা কেন এমপি আলি আজম মুকুল সহ তার আত্মীয়-স্বজনরা দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন ও ভোলা সহ পুরো জেলা থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে এ জেলা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তাদের শাসনামলে তারা লুটপাট করে হাজার হাজার কোটি টাকাই বানিয়ে তা শুধু বিদেশের মাটিতেই রেখেছেন। কেউ কেউ আবার বলছেন, তারা এতোটাই অনিয়ম দুর্নীতি করেছে যে যা ঘন্টার পর ঘন্টা বলেও শেষ হবেনা।
এ ব্যাপারে দৌলতখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সত্যরঞ্জন খাসকেল জানান, মামলাটি তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে তদন্ত চলাকালে এর চেয়ে বেশি কিছু বলা তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত