এইচ এম জাকিরঃ এবার ভোলা-২ আসন অর্থাৎ দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার জনগণের জন্য চমক নিয়ে আসছেন ব্যারিস্টার খাইরুল আলম চৌধুরী। এরই মধ্যে তিনি দুই উপজেলার সাধারণ মানুষের স্বপ্ন পূরণে আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশায় আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেছেন। রবিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তার ভাই অ্যাডভোকেট নুর-ই আলম চৌধুরী (টিপু চৌধুরী)।

আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান ব্যারিস্টার খায়রুল আলম চৌধুরী ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতুবা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী আব্দুল জব্বার মিয়া বাড়ির সন্তান। দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি আরব বাংলাদেশ ব্যাংক এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য সহ আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থেকে সর্ব সময়ই দলের বিভিন্ন কর্মকান্ডে সময় দিয়ে গেছেন। সেই সুবাদে তার জন্মস্থান ভোলার বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখানের বহু মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দিয়েছেন। শিক্ষিত বহু যুবককে এবি ব্যাংক সহ বিভিন্ন ব্যাংকের পাশাপাশি বহু প্রতিষ্ঠানের সম্মানজনক স্থানে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন।

তাই আগামী দিনেও দুই উপজেলার উন্নয়নের পাশাপাশি সেখানকার জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের প্রত্যাশা নিয়ে তিনি আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে নৌকার প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। তার জন্য তিনি বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান উপজেলার জনগণের পাশাপাশি আওয়ামীলীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন।

তাছাড়া যোগ্যতা ও বংশপরিচার দিক থেকেও কোনভাবেও তিনি পিছিয়ে নন। তার বাবা মরহুম মনিরুল আলম চৌধুরী ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। নানা মরহুম মজিবুল হক চৌধুরী ছিলেন তৎকালীন এমএলএ, চাচা মরহুম রেজা-এ-করিম চৌধুরী চুন্নু মিয়া ছিলেন সাবেক এমপি ও ভাষা সৈনিক। তার বড় চাচা মরহুম ফখরুল আলম চৌধুরী নসু মিয়া ছিলেন কুতুবা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। তার আরেক চাচা তরিকুল আলম চৌধুরী বিশিষ্ট চিকিৎসক ও আওয়ামী চিকিৎসা পরিষদ (স্বাচিপ) এর বরিশাল বিভাগের সাবেক সহ সভাপতি। আব্দুল জব্বার কলেজ, কুতুবা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কুতুবা সরকারিপ্রাথমিক বিদ্যালয়, ছাগলা মাদ্রাসা ও বোরহানউদ্দিন বাজার মসজিদসহ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মসজিদ-মন্দির নির্মানে তাদের পরিবারের অবদানের কথা উল্লেখ করে খায়রুল আলম চৌধুরী বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল পর্যায়ে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছি। আমার পূর্বপুরুষের মতো আমিও চাই এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবর্তনে কাজ করতে। তাই ভোলা-২ দুই আসনে আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে নৌকা প্রতীকে নমিনেশন পেতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি। সোমবার সকালে তার মনোনয়ন ফরম জমা দিবেন বলেও তিনি।

এছাড়া ভোলা-২ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন,  বর্তমান এমপি আলী আজম মুকুল, আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিশিষ্ট অর্থনীতিবীদ ড. আশিকুর রহমান শান্ত, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য অ্যাডভোকেট ইউছুফ হোসেন, তার ছেলে বিশিষ্ট চিকিৎসক আফতাব ইউছুফ রাজ, কাদের খান, মাকসুদুর রহমান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর শরিফ। আগামী দুই দিনের মধ্যেই তাদের প্রত্যেকেরই মনোনয়ন ফরম জমা দিবেন বলে জানা গেছে।