এইচ এম জাকিরঃ ভোলা থেকে ঢাকা গামী লঞ্চ এম.ভি সুরভী-৮ লঞ্চের সাথে টিপু-১৪ লঞ্চের মারাত্মক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে করে সোহেল নামের এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো কয়েকজন যাত্রী।
সোমবার দিবাগত রাত অর্থাৎ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে চাঁদপুরের হরিনাম এলাকায় মেঘনা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
নিহত সোহেল ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আমিনাবাদ ইউনিয়নের ওসমান আলি ফরাজি বাড়ির বাসিন্দা সেলিম ফরাজির ছেলে ও স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরে আলম মেম্বারের ভাতিজা। তার নানা বাড়ি ভোলা সদরের পিটিআই ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের পিছনে হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই সে নানা বাড়ি বসবাস করতেন। তাছাড়া তার স্ত্রী ভোলার ইলিশায় একটি প্রাইমারিতে চাকরি করার সুবাদে যুগিরগোল আদর্শ পাড়ায় পরিবার নিয়েই তিনি বসবাস করতেন। বৈবাহিক জীবনের পাঁচ বছর অতিবাহিত সোহেল স্ত্রী সহ দুই সন্তানের জনক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গভীর রাতে হঠাৎ করে বিকট শব্দে পুরো লঞ্চটি কেঁপে ওঠে। শুরু হয় যাত্রীদের মাঝে চিৎকার চেঁচামেচি। এমতবস্থায় দেখা যায় এমভি টিপু লঞ্চের ধাক্কায় সুরুভী-৮ লঞ্চের দোতালার বাম পাশের মাঝামাঝি অংশ দুমড়ে-মুচরে যায়। এ সময় লঞ্চের বেলকনিতে থাকা সোহেল গুরুতর আহত হয়। লঞ্চের ধাক্কায় সোহেলের বুকের পাঁজরের অধিকাংশ অংশই ভেঙে যাওয়ায় অচেতন হয়ে সোহেল ফ্লোরে লুটে পড়েন। এক পর্যায়ে লঞ্চে থাকা অন্যান্য যাত্রীরা সোহেলকে উদ্ধার করলেও মুহূর্তের মধ্যেই সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
ঘন কুয়াশার কারনে লঞ্চ দুটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছেন লঞ্চে থাকা যাত্রী সহ সংশ্লিষ্টটা।
এদিকে দীর্ঘক্ষন লঞ্চটি সেখানে আটকে থাকলেও পরবর্তীতে ঢাকার উদ্দেশ্যে পুনরায় ছেড়ে গিয়ে সকালের মধ্যেই লঞ্চটি পৌঁছে যায় ঢাকার সদরঘাটে।
তবে কেন কি কারনে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারলে পরবর্তীতে এই ঘটনার আপডেট জানানো হবে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত