স্টাফ রিপোর্টারঃ ভোলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ২২ পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের সাথে থাকা বেশ কিছু ইলেকট্রনিক ডিভাইস, মাস্টার কার্ড ও মোবাইল-ফোন জব্দ করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে ১২ জন পুরুষ ও ১০ জন নারী পরীক্ষার্থী রয়েছে।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এক ঘন্টার পরীক্ষায় বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাদেরকে আটক করার বিষয়টি নিশ্চিত করে ভোলা সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহিন ফকির বি.পি.এম বলেন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করার কারণে নারী-পুরুষ সহ ২২ জন পরীক্ষার্থী আটক করা হয়েছে। তাদের সবাইকে রাতভর ভোলা সদর থানার থানার লকাপে রাখা হয়েছে। হয়তোবা আজ শনিবার তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, ভোলা জেলায় সর্বমোট ১৮টি কেন্দ্রে এ নিয়োগ পরিক্ষায় অংশ নেয় ১২ হাজাট ৯শ’ ৯৪জন। এর মধ্যে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ২০ জনকে বহিষ্কার, ৭ জনকে মুচলেখা ও ২২ জনকে আটক করা হয়েছে। বহিষ্কার করা হয়েছে। আটকৃত ২২ জনকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ভোলার ১৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ভোলা সরকারি কলেজ থেকে ৫জনকে গ্রেফতার, সরকারি শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজ থেকে ৪ জন বহিষ্কার এবং ৪ জনকে গ্রেফতার, বাংলাবাজার ফাতেমা খানম কলেজ থেকে ১ জন গ্রেফতার, শহীদ জিয়া আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১ জন বহিষ্কার, ভোলা এ রব স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৪ জন বহিষ্কার, মাছুমা খানম স্কুল থেকে ১ জন বহিষ্কার এবং ১ জনকে গ্রেফতার, ভোলা টাউন কমিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১ জন গ্রেফতার, ভোলা পৌর বালিকা স্কুল থেকে ২ জন গ্রেফতার, ভোলা পিটিআই থেকে ২ জন গ্রেফতার, ভোলা টেকনিক্যাল স্কুল কলেজ থেকে ২ জন গ্রেফতার, ওবায়দুল হক বাবুল মোল্লা স্কুল থেকে ২ জন গ্রেফতার, চরনোয়াবাদ মুসলিম স্কুল থেকে ২ জন বহিষ্কার এবং ১ জনকে গ্রেফতার, ব্যাংকেরহাট কো-অপারেটিভ স্কুল থেকে ৫ জন বহিষ্কার, পরানগঞ্জ হালিমা খাতুন স্কুল থেকে ২ জন গ্রেফতার, জয়নগর মাধ্যমিক স্কুল থেকে ১ জন গ্রেফতার, ঘুইংগারহাট মাধ্যমিক স্কুল থেকে ৫ জন বহিষ্কার, বাংলাবাজার ফাতেমা খানম স্কুল থেকে ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকজন পরিক্ষার্থীকে মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার সকাল ১০ টায় শুরু হওয়া ১ ঘণ্টার এ (এমসিকিউ) পরিক্ষা শেষ হয় বেলা ১১ টায়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রথম ধাপে রংপুর, সিলেট, বরিশাল বিভাগের ১৮টি জেলায় একযোগে পরিক্ষার হলে বসেন চাকুরী প্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত