আশিকুর রহমান শান্তঃ ভোলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহের হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীতে কাঁপছে সাধারণ মানুষ। বিপর্যস্ত জনজীবন। হঠাৎ প্রচন্ড শীতের তীব্রতা ছড়িয়ে পড়ে বাড়ছে ঠান্ডা জনিত রোগ। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর ভিড়।
গত দুদিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে জেলার ওপর দিয়ে। ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিম-শীতল বাতাস শীতের তীব্রতা ক্রমশই তীব্রতর হচ্ছে। কনকনে হাঁড় কাপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
দুপুর সোয়া ২টা পর্যন্ত দেখা মিলছে না সূর্যের আলো। ভোর থেকে কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকছে ভোলার প্রকৃতি সাথে হিমবাহ বাতাস। তীব্র শীতের কষ্টে পড়েছে জেলার খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। তবুও কুয়াশা আর শীত উপেক্ষা করে ঘর থেকে বের হয়ে কাজে যেতে হচ্ছে জীবন-জীবিকার তাগিদে। সন্ধ্যার পর কমে যাচ্ছে যানবাহন, ফাঁকা হচ্ছে শহর, বন্দর, হাট বাজারের রাস্তাঘাট। শীতের তীব্রতায় এখন ঘরমূখো মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রচন্ড ঠান্ডায় সর্দি, কাশি, গলাব্যাথা, কোল্ড এলার্জি, বাত ব্যাথা, স্বাসকষ্ট এবং নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভির করছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
এদিকে, সরকারি ও কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ভোলার অদূরবর্তী চরাঞ্চল সহ বিভিন্ন এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এতিম অসহায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল সহ বিভিন্ন গড়ম বস্র বিতরন করেছে। তাও চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভোলার আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আজ ভোলার তাপমাত্রা ১৪° ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে রয়েছে। আগামী কয়েকদিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত