স্টাফ রিপোর্টারঃ ভোলায় আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের ক্যাম্পের ছাদ থেকে ঝুটন চন্দ্র শীল নামে এক আনসার সদস্যের (সিপাহী) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে ভোলা সদর মডেল থানা পুলিশ ঝুটনের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ঝুটন চন্দ্র শীল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয় নগর উপজেলার ছতরপুর গ্রামের সুধাংশু চন্দ্র শীলের ছেলে।
ভোলা আনসার ও ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট রুবায়েত বিন সালাম জানান, নির্বাচনের ডিউটি করার জন্য কয়েকদিন আগে পটুয়াখালী ক্যাম্প থেকে ভোলা ক্যাম্পে এসেছিল ঝুটন। সকালে প্যারেড গ্রাউন্ডে প্যারেড চলাকালীন তাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। একপর্যায়ে অন্যান্য আনসার সদস্যরা ক্যাম্পের ছাদের সিঁড়ির স্থানে ঝুলন্ত অবস্থায় ঝুটনের মরদেহ দেখতে পায়। এরপর তিনি পুলিশকে ঘটনাটি অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে ঘটনাটিকে হত্যার দাবি করে ঝুটন চন্দ্র শীলের বাবা সুধাংশু চন্দ্র শীল জানান, গেলো রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঝুটনের সঙ্গে তাদের মুঠোফোনে কথা হয়েছিলো। তারা ঝুটনের জন্য মেয়ে দেখা শুরু করেছে। নতুন বছরে বিয়ের পিড়িতে বসবে ঝুটন। পরিবারের কারো সঙ্গে তার মনোমালিন্য কিংবা ঝগড়াঝাটি নেই। সে কি কারণে আত্মহত্যা করতে পারে তার কোনো কারণও খুঁজে পাচ্ছে না তার। পরিবারের দাবি, যে কেউ ঝুটনকে মেরে ঝুলিয়ে রাখতে পারে। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
যদিও এ ঘটনায় জেলা আনসার ও ভিডিপি কমান্ড্যান্ট মিডিয়ায় কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
তবে ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রিপন কুমার সাহা বলেন, ঝুটনের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তার পরিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ভোলায় আসতেছে। এ ঘটনার তদন্ত চলছে। তাছাড়া ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা এ মৃত্যুর সম্পর্কে সঠিক করে কোন কিছুই বলা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত