মোঃ ওমর ফারুকঃ সম্প্রতি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোলার ইলিশা চডার মাথা এলাকার মাছ ঘাটে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে বন্ধুকে হত্যার ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে মাঠে কাজ করছেন পুলিশ। এরই মধ্যে হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার সহ সংগ্রহ করা হয়েছে হত্যার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত। এ বিষয়ে রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে প্রেস ব্রিফিং করেন জেলা পুলিশ প্রশাসন।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভোলা সদর সার্কেল) রিপন চন্দ্র উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে জানান, গত ০৯ সপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে ভোলার ইলিশা চডার মাথার মাছ ঘাটে সিগারেট নিয়ে ঝগড়া ঝাটি হয় দুই বন্ধু রাসেল ও রিয়াজের সাথে। এ সময় মোঃ রিয়াজ তার হাতে থাকা জাল কাটার চাকু দিয়ে রাসেলের গলার নীচে বাম পাশে কোপ মারলে গলার নীচে গভীর ভাবে কেটে জখম হয়। মুহূর্তের মধ্যে প্রচুর রক্ত খনন হয়। এ সময় তাদের মারামারি বন্ধ করতে গেলে স্বাক্ষী মামুন মালের হাতেও কোপ দিয়ে বাম হাতের উপরে রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তীতে সাক্ষীরা রাসেলকে দ্রুত ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে। এ মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করেন। মৃত রাসেলের পিতা তোফাজ্জল ভান্ডারি মাতা মিনারা বেগম ও আত্মীয় স্বজনদের উপস্থিতিতে মৃত রাসেল (১৯) এর লাশের সুরত হাল প্রস্তত করে ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করেন। এ ঘটনায় নিহত রাসেলের মা মিনারা বেগম বাদী হয়ে ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৬, ধারা-৩২৪/৩০২ পেনাল কোড।
ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে অভিযান পরিচালনা করে মামলার এজাহার নামীয় আসামী পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কালুপুর গ্রামের বাসিন্দা শাহে আলমের ছেলে মোঃ রিয়াজ (২৫) গ্রেফতার করা হয়।
তবে গ্রেফতারকৃত আসামী রিয়াজের বিরুদ্ধে পূর্বে কোন মামলা (পিসিপিআর) নেই বলে জানান তিনি।
ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন, ইলিশা তদন্ত কেন্দ্রের আইসি গোলাম মোস্তফা ও আইসি আব্দুল্লাহ আল মামুন সহ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের সাংবাদিকবৃন্দ।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত