প্রাথমিক ভাবে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ছয় হাজার গাছের চারা রোপন করার কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে এর পরিমান আরো বৃদ্ধি পাবে বলে জানান পুবালী ব্যাংক পিএলসি’র বরিশাল অঞ্চল প্রধান মো: রুহুল আমিন।
এ সময় তিনি বলেন, সত্তরের ভয়াল ঘূর্ণিঝড়ে উপকুলীয় বিভিন্ন জেলা সহ লন্ডভন্ড হয়ে গেছে দ্বীপ জেলা ভোলার বিভিন্ন অঞ্চল। পরবর্তীতে স্থানীয় বনবিভাগ সহ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি আওতায় বিভিন্ন স্থানে বনয়নের তৈরীর মধ্য দিয়ে একে একে গড়ে তোলা হয়েছে সবুজ বেষ্টনি। তাতে করে সত্তরের পরবর্তীতে যে সকল ঘূর্ণিঝড় বিশেষ করে সিডর, আইলার, নারগিজ, মহসিন সহ আরো যে সকল ঘূর্ণিঝড় ভোলার উপর দিয়ে আঘাত হেনেছে, ওই সকল ঝড়ে তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এ জেলার মানুষের।
শুধুমাত্র জেলার বিভিন্ন স্থানের বনায়নই রক্ষা করেছে এ জেলার মানুষকে। কিন্তু দিনে দিনে যে ভাবে বাড়ছে ঘনবসতি, একের পর এক তৈরি হচ্ছে মানুষের আবাসস্থল। তাতে করে গাছ কাটার ফলে ক্রমশ্য কমে যাচ্ছে বনায়ন। এতে করে হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ প্রতিবেশ। তাই ঘূর্ণিঝড় ও বজ্রপাতের হাত থেকে রক্ষা পেতে বৃক্ষরোপনের বিকল্প কিছুই নেই। সংগত কারণেই আমাদের ব্যাংকের বিভিন্ন কর্মসূচীর পাশাপাশি দেশের উপকুলীয় জেলা গুলোতে বনায়নের পরিমান বৃদ্ধির লক্ষে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে।
তারই ধাবাহিকতায় প্রাথমিক ভাবে দ্বীপজেলায় ভোলায় তাল ও নারিকেল গাছের ৬ হাজার চারা রোপনের লক্ষে আমাদের বৃক্ষরোপন কর্মসূচীর শুভ সূচনা করা হয়েছে। এই গাছ রোপনের এগুলো পরিচর্যার মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন এর ফলন দ্বারা মানুষ উপকৃত হবে, অন্যদিকে বাঁচবে পরিবেশ প্রতিবেশ। তাই আগামীতেও এর ধারাবাহিকতা আব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।