এইচ এম জাকিরঃ যাচ্ছে সনাতন ধর্মালম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজার চতুর্থ দিন মহানবমী। এদিন বিশেষ কোনো পর্ব না থাকলেও নবমীর সন্ধ্যায় দেবীদুর্গার ‘মহা আরতি’ করা হয়। মহানবমীতে বলিদান ও নবমী হোমের রীতি রয়েছে। মূলত ‘সন্ধিপূজা’ শেষ হলে শুরু হয় মহানবমী।
সোমবার সকাল থেকেই বিহিতপূজার মাধ্যমে শুরু হয়েছে মহানবমী পূজা। বেলা বাড়ার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মণ্ডপে মণ্ডপে বাড়তে শুরু করেছে ভক্তদের ভিড়। ১০৮টি নীলপদ্মে পূজা হবে দেবীদুর্গার। পূজা শেষে যথারীতি থাকবে অঞ্জলি নিবেদন ও প্রসাদ বিতরণ। মণ্ডপে মণ্ডপে প্রাণের উৎসবে ভক্তদের মাঝে বইছে বিষাদের সুর।
এদিকে প্রতিবারের মতো এবারও পূজা মন্ডপ গুলোতে পরিদর্শনে যান ভোলার জেলা আওয়ামীলীগের বারংবার নির্বাচিত সভাপতি ও ভোলা সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল কাদের মজনু মোল্লা। এ সময় তিনি প্রতিটি মন্ডপেই নিজ অর্থায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করেন।
পাশাপাশি প্রতিটি মন্ডপেই দূরদূরান্ত থেকে আশা ভক্ত অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই আজ দেশে সনাতন ধর্মালম্বীদের প্রতিটি উৎসবই শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হচ্ছে। কোথাও কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা কিংবা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনাতো দূরের কথা, কেউ তা চিন্তা করারই সাহস পায়নি। কেননা প্রধানমন্ত্রী বরাবরই শান্তিতে বিশ্বাস করেন। তাই আজ ভোলা তথা সারা দেশের প্রতিটি অঞ্চলেই শান্তিপূর্ণভাবে হিন্দুধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ ভাবে চলছে।
বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, এই সরকার আছে বলে দেশের কোন মানুষকে না খেয়ে মরতে হয় না। প্রতিটি মানুষই খেয়ে পড়ে অতীতের চেয়েও অনেক ভালো ভাবে জীবন যাপন করছে।
তাই আগামী দিনেও দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি দেশের শান্তি শৃঙ্খলা ধরে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুনরায় আওয়ামীলীগ সরকারকে ক্ষমতায় আনার জন্য সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
এ সময় তার সাথে ছিলেন, ভোলা জেলা আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ সহ উপস্থিত জনতা।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত