বিশেষ প্রতিনিধিঃ ভোলায় জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ইপি ভোলা জেলা নারী উদ্যেক্তাদের মিলনমেলা ও পন্য প্রদর্শনী। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকালে শহরের ফুড লাভার চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এ মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন, ভোলার সুযোগ্য  জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান।

এ সময় তিনি বলেন, নারীরা অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও এগিয়ে যাচ্ছেন, তাদেরকে সহযোগীতার দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের। আমরা নারী উদ্যোক্তাদের নিরাত্তার পাশাপাশি সার্বিক সহযোগীতা করার চেষ্টা করছি। এমনকি ভবিষ্যতেও তাদেরকে বিভিন্নভাবে আর্থিক ও অন্যান্য সহযোগীতার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাব।

এদিকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশ যখন সামনে দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই সাথে কোনভাবেই পিছিয়ে থাকতে চান না ভোলার নারী উদ্যোক্তারা। তাই তারা বিভিন্ন ধরনের অনলাইন ব্যবসার মাধ্যমে নিজেদেরকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন ভাবে স্বপ্ন দেখছেন। শুধু স্বপ্নই নয় তা বাস্তবে রূপ দিতে এক এক করে প্রতিটি নারী কাজ করে হয়েছেন এক একজন নারী উদ্যোক্তা।

তাই তারা একত্রিত হয়ে তাদের পন্য সামগ্রী প্রদর্শনের পাশাপাশি ব্যবসার প্রসার ও পরিচিতি ঘটাতে আয়োজন করেন এ পন্য প্রদর্শনী ও মিটআপের।

ইপি উপদেষ্টা রোমান মিয়া সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, ইপি সহ প্রতিনিধি লিমা রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ভোলা বিসিক শিল্প নগরীর উপ-ব্যবস্থাপক এসএম সোহাগ হোসেন, ইপি বরিশাল বিভাগীয় প্রধান শারমিন সুলতানা।

এদিকে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে জেলার বিভিন্ন অনলাইন ব্যবসা। এতে পিছিয়ে নেই এ অঞ্চলের নারীরাও। নানা প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছেন তারা। বিভিন্ন নারীরা তাদের নিপুর হাতে তৈরীকৃত বিভিন্ন পন্য সামগ্রী অনলাইন কিংবা সরাসরি বিক্রি করে হয়ে উঠছেন সফল উদ্যোক্তা। কেউ কেউ আবার সফল হতে চালিয়ে যাচ্ছেন নানা প্রচেষ্টা।

পন্য প্রদর্শনীতে দেখা গেছে, উদ্যোক্তারা তাদের তৈরীকৃত পন্যের প্রসার ঘটাতে ছোট পরিসরে আয়োজন করেন পন্য প্রদর্শনী। তাদের তৈরী হ্যান্ড পেইন্টিং শাড়ি, পাঞ্জাবি, থ্রি-পিস, খাদ্য ও কসমেটিকস সাসুগ্রী পরসা সাজিয়েছেন। এছাড়া বাহারি রকমের কেক, পিঠা সহ ভিন্ন রকমের খাবার পরিবেশনের মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন এক চমক।

জেলার অর্ধশতাধিক নারী উদ্যোক্তা ও পন্য প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন। ব্যবসার আরও প্রসার ঘটানোর পাশাপাশি নিজেদের সাথে পরিচিতি, পরামর্শ সহ নানা পরিকল্পনা নিয়ে এক হয়েছেন নারী উদ্যোক্তারা।
নারী উদ্যোক্তা প্রমিতা এনি, সাথী কবিরাজ, লিমা রহমান, তানিয়া হায়দার ও পাপিয়া মাহবুব বলেন, নারীরা অনেক প্রতিকূলতার মাধ্যেও অনলাইন ব্যাবসা করছেন। ব্যবসার প্রসার ও সফলতা পেতে চেষ্টা করছেন। উদ্যোক্তারা যাতে এগিয়ে যেতে পারে, সেজন্য জেলা প্রশাসন ও বিসিকের সহযোগীতা প্রয়োজন। আমরা চাই সকলের সহযোগীতা। সার্বিক সহযোগীতায় আমরা এগিয়ে যেতে প্ররবো এবং উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের প্রতিষ্ঠা করতে পারবো।
জানা গেছে, শুরুর দিকে অল্প সখ্যক নারী নিয়ে অনলাইন প্লটফর্ম ইপি যাত্রা শুরু করে , সেটি এখন অনেকটাই সম্প্রসারিত হয়েছে। সংসারের কাজের ফাঁকে নারীরা পন্য তৈরী ও বিক্রি করে সফল হতে চান তারা। উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরীর পাশাপাশি কর্মসংস্থান বাড়ছে নারীদের।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক, ভোলা) উপ-ব্যবস্থাপক এসএম সোহাগ হোসেন বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষুদ্রঋন এবং প্রশিক্ষন দিয়ে সহযোগীতা করছে বিসিক। নারী উদ্যোক্তাদের বিগত সময়ের মত এখনও করছি আমরা।
তবে এ সকল নারী উদ্যোক্তারা সফল হয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।