অভিযোগ রয়েছে, মেহেদী হাসান রুমী দেশের আলোচিত প্রতারক দীপুর প্রধান সহচর হিসাবে কাজ করতেন। সে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে ধোকা দিয়ে বোকা বানিয়ে বিশাল সম্পদের মালিক বনে গেছেন। তবে শেষ রক্ষা হইনি, গ্রেপ্তার হতে হয়েছে এই চক্রের প্রধান আশরাফুল ইসলাম দিপু ওরফে প্রতারক দিপু। কিন্তু দিপু গ্রেপ্তার হলেও তার প্রধান সহচর ও সহযোগী মেহেদী হাসান রুমী এখনো প্রকাশ্যে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন।
২৫ বছর বয়সী এই যুবক ভোলা জেলার দক্ষিণ আইচা থানার চর মানিকা ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য হারুন শিকদারের ছেলে।
সে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে চাকুরীরত অবস্থায় আশরাফুল আলম দিপু ওরফে প্রতারক দিপুর প্রধান সহযোগী হিসাবে বিভিন্ন জেলায় ঘুড়ে বেড়িয়েছেন।
২০২২ সালে প্রতারণার শিকার হয়ে ভাটারা থানায় করা এক ভুক্তভোগীর মামলায় প্রতারক দিপুকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি)। রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে সে গ্রেপ্তার হলেও ধরাছোয়ার বাহিরে থেকে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে নিজের নাম লিখেন প্রতারক দীপুর অন্যতম সহযোগী মেহেদী হাসান রুমি(আসাদ)।
উপকূলীয় অঞ্চলের ত্রাণ আত্মসাতের মাধ্যমে প্রতারণার জগতে পা বাড়ায় আশরাফুল আলম দিপু ও তার সহযোগী রুমি। প্রতারণার জন্য সে নিজেকে পুলিশের ডিআইজি থেকে শুরু করে দুদক কমিশনার, এনএসআই পরিচালকের পরিচয় দিতো। পাশাপাশি মার্কিন নাগরিক, কখনো স্বনামধন্য নোমান গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান, কখনো ইসলাম টেক্সটাইলের পরিচালক, আবার কখনো বা গুলশান ওয়েল ফেয়ার ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পদ ব্যবহার করতো।
প্রতারনার জন্য যখন যে পরিচয় প্রয়োজন সে রুপেই আবির্ভূত হয়ে কোটি টাকার মালিক বনে যায়। উপকূলীয় অঞ্চলের দাতা সংস্থার দেয়া ত্রাণ আত্মসাতের মাধ্যমে প্রতারণা শুরু করে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। স্কুলে নিয়োগ, এনএসআইতে চাকরি দেয়া, করোনাকালে মানুষকে সহযোগীতার নামে ‘মানবিক টিম’ নামে ফেসবুক পেজ খুলে প্রবাসীদের পাঠানো টাকা আত্মসাতসহ বিভিন্ন প্রলোভনে যাকে যেভাবে বশে আনা সম্ভব সেটাই করতো আশরাফুল ও মেহেদী হাসান রুমি।
মাত্র ২৫ বছর বয়সে তার এসব প্রতারণা হতবাক করেছে সবাইকে। মানুষকে চাকরি দেয়ার কথা বলেই টাকা হাতিয়ে নিতো। অথচ বাস্তবে কাউকে চাকরি দিতে পারতো না। কোন কোন সময় চাকরিপ্রার্থীদের ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে নামমাত্র শান্তনা দিয়ে যেতো।
এ বিষয়ে চরফ্যাশন উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি জাহান শিকদার বলেন, আমাদের সংগঠনে কোন রকম টাউট বাটপারের জায়গা হবে না। শুধু আমাদের সংগঠন কেনো বাংলাদেশের যে প্রধান দুটি দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি তারাও এই চিটার বাটপারদেরকে তাদের সংগঠনে যায়গা দিবে না। আর আমাদের সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল টাউট বাটপারি যারা করবে তাদের সদস্য তো দুরের কথা দলেও কোন স্থান নেই। কোন অধিকার নেই আমাদের সাথে রাজনীতি করা,আমার সাথে ছবি ছেড়েছে এটা আমাদের ডিসক্রেডিট।