1. info@www.skytvnews24.com : Sky TV News 24 :
রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪৮ অপরাহ্ন

নৌকার বিজয় নিশ্চিত ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এমপি মুকুলের বিকল্প নেই

প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: রবিবার, ৯ জুলাই, ২০২৩
  • ২৯৬ বার পড়া হয়েছে

এইচ এম জাকিরঃ দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন উপজেলা অর্থাৎ ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আলী আজম মুকুল এর নেতৃত্বে দুই উপজেলায় বইছে শান্তির বাতাস। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন পাড়া, মহল্লা, হোটেল, রেস্তোরা সহ বিভিন্ন চায়ের দোকানের আড্ডায় সাধারণ মানুষের মধ্যে চলছে নির্বাচনী জল্পনা কল্পনা।

বোরহানউদ্দিনের উপজেলা সড়কের এমনই এক চায়ের দোকানে চা খেতে বসতেই চলে আসে নির্বাচনে কথাবার্তার আওয়াজ। ভালোইতো আছি আমরা। নেই কোন হানাহানি মারামারি, নেই কোন ধরনের অভ্যন্তরীণ ক্রন্দল। পৌরসভা ও ইউনিয়নের স্কুল-কলেজ, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালবাট সহ বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নে বদলে গেছে দুই উপজেলার জনজীবনের চিত্র। তাছাড়া মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর করাল গ্রাস থেকে দুই উপজেলাকে রক্ষায় কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপন করা সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগের মাধ্যমে আল্লাহর অসীম রহমতে দুই উপজেলার মানুষ ভাঙ্গন থেকে অনেকটা মুক্তি পেয়েছে।

তাছাড়া গেলো করোনার মতো ভয়াবহ মহামারী সহ যেকোনো ধরনের বন্যা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাসে যিনি নিজের জীবন বাজি রেখে তার পরিবারের কথাও চিন্তা না করে প্রতিটি মুহূর্তই নিজের নির্বাচনী এলাকার জনগণের পাশে সময় দিয়ে তাদেরকে সকল ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করে গেছেন, সেই মহান ব্যক্তিত্ব ভোলা-২ আসনের সংসদ আলহাজ্ব আলী আজম মুকুল ভাই জীবিত এবং পরিপূর্ণ সুস্থ থাকতে কেনইবা অন্য কেউ এই আসনে নির্বাচন করার স্বপ্ন দেখছেন, এমনই প্রশ্ন রেখেছেন ওই চায়ের দোকানে নির্বাচনী আড্ডায় সেখানকারই এক বয়জ্যৈষ্ঠ বাসিন্দা প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক আব্দুল মান্নান হাওলাদার।

তিনি বলেন, এখন আর রাজনীতি আগের মতো নেই, মানুষের মধ্যে ক্ষমতার লোভ লালসার পাশাপাশি ব্যাপক অহংকার চলে আসছে। তা না হলে যে ব্যক্তিটি এখনো জীবিত এবং পুরোপুরি সুস্থ এমনকি যার জীবনের অধিকাংশ সময় টুকুই তিনি তার নির্বাচনী এলাকার জনগণের পিছনে ব্যয় করেছেন। তাকে বাদ দিয়ে যে ব্যক্তি এলাকার জনগণকে সময় দেওয়াতো দূরের কথা, কখনো আওয়ামীলীগের রাজনীতির মধ্যেই যাকে দেখা যায়নি, হঠাৎ করে এমন একজনকে দৌলতখান ও বোরহানউদ্দনবাসীর উপর চাপিয়ে দিতে হবেইবা কেন?

এমন যদি হতো বর্তমান সংসদ সদস্য পুরোপুরিই অক্ষম কোন ধরনের কাজ কর্মই করতে পারে না কিংবা এলাকার উন্নয়নে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারে নায় বা জনগণ তার দ্বারা বরাবরই নির্যাতিত নিপীড়িত হয়েছে, তাহলে হয়তোবা জনগণই অন্য কাউকে বেছে নেয়ার চিন্তা করতো। গায়ের জোরে কাউকে আসতে হতো না।

যেমন কিছুদিন যাবত আশিকুর রহমান শান্ত করে একজনের নাম শোনা যাচ্ছে, তিনি নাকি এই আসনে নির্বাচন করার স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে, বর্তমান সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল কি মরে গেছেন? যাকে আমরা কখনো কোনদিনও আমাদের দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিনের জনগণের পাশে দেখিনি, এমনকি উন্নয়নের কোন ধরনের কাজতো দূরের কথা কোন বিষয়ই তার কোন ভূমিকা আমাদের চোখে পড়ে নায়, এমন একজন লোক ভোলা-২ আসনের নৌকার মনোনয়ন পেতে এ যেন উড়ে এসে জুড়ে বসার মতো অবস্থা হয়েছে।

তাছাড়া যিনি কখনো আওয়ামীলীগই করেনি জন্মগত সূত্রেই তাদের পরিবার এমনকি তিনিও ছিলেন জাতীয় পার্টি। হঠাৎ করে যে ব্যক্তিটি এতদিন দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিনের বিএনপি দুর্গ নামের পরিচিতি ভেঙে দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে এই আসনটিকে আওয়ামীলীগের দুর্গ হিসাবে রূপ দিয়েছেন। সেই মহান ব্যক্তিত্ব ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলি আজুম মুকুল ভাইকে বাদ দিয়ে কেনইবা একজন বহিরাগত লোককে নমিনেশন দিতে হবে এমনই প্রশ্ন রেখেছেন ওই প্রাক্তন স্কুল মাস্টার আব্দুল মান্নান।

শুধু একজন মান্নান কিংবা একটি চায়ের দোকানেই নয়, দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন স্থানেই সাধারণ মানুষের সাথে কথা হলে প্রত্যেকের কাছ থেকেই একই উক্তি চলে আসে।

তাদের মধ্যে নুরুজ্জামান, আলী আজগর, জাহাঙ্গীর মাঝি, কার্তিক চন্দ্র দে, মোস্তফা কামাল সহ আরো অনেকের সাথেই কথা হলে তারাও জানান, দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে বর্তমান সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল ভাইয়ের বিকল্প কোন কিছুই নেই।

তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যার কাছে যে কোন সময় যে কোন মুহূর্তে আমাদের মতো সাধারন মানুষরা ছুটে গিয়ে সকল ধরনের চাওয়া পাওয়া ও মনের ইচ্ছা পূরণ করতে পেরেছি। এই পর্যন্ত কোন মানুষকে তিনি নিরাশ করেছেন বলে আমাদের কাছে মনে হয় না। যাকে যেভাবেই পেরেছেন বরাবরই সাহায্য সহযোগিতা করে গেছেন। আমাদের দেখা মতে তিনি সর্বসময় জনগণকে নিয়ে থাকেন এমনকি জনগণের পাশেই সময় কাটাতে পছন্দ করেন।

যেখানে রাস্তাঘাটের বেহাল দশার কারণে কোন ইউনিয়নে যেতে হলে সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে কষ্টসাধন করতে হতো। বর্তমানে দুই উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে রাস্তাঘাট ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণের মধ্য দিয়ে গ্রাম এখন শহরে রূপান্তরিত হয়েছে। তাছাড়া পৌর এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক মেঘা প্রকল্পের কাজ সহ অগণিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বহুতল ভবনের রূপ দেয়ার পাশাপাশি হাজার হাজার কোটি টাকার সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগ স্থাপনের মধ্য দিয়ে তার উছিলায় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মেঘনা ও তেতুলিয়ার ভাঙ্গন থেকে দুই উপজেলার মানুষকে রক্ষা করেছেন।

তাই দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিনের আওয়ামীলীগের বাহিরেও সাধারণ জনগণ বর্তমান সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল ভাইকে খুবই পছন্দ করেন এবং ভালোও বাসেন।

তাছাড়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অতীতের নির্বাচনগুলোর মতো এতোটা স্বাভাবিক নাও হতে পারে, সেই দৃষ্টিকোণ থেকে নতুন কাউকে নমিনেশন দিলে ওই ব্যক্তি এলাকার মানুষদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠতেও কয়েক বছর সময় লেগে যাবে। তাতে করে আসনটি আওয়ামী লীগের কাছ থেকে হাতছাড়া হয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন তারা।

তাই সামনের প্রতিযোগিতা পূর্ণ নির্বাচনে নতুন করে এই আসনটিতে কোন প্রার্থী না দিয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আলী আজম মুকুল ভাইকে পুনরায় নমিনেশনের মধ্য দিয়ে ভোলা-২ আসন থেকে আওয়ামীলীগকে জয়যুক্ত করার পাশাপাশি দুই উপজেলার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে জোরালো দাবি জানান দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার আওয়ামীলীগসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং
error: Content is protected !!