থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন, নতুন বছরকে বরণ ও বছরের প্রথম দিন শুক্রবার ছুটির দিনকে ঘিরে সুন্দরবনে ভ্রমণ পিপাসুদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে বনের সবচেয়ে কাছাকাছি এবং আর্কষণীয় পর্যটন স্পট করমজলে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে থাকে। দুপুর পর্যন্ত করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রে দেড় হাজারেরও বেশি পর্যটন এসেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার এ কেন্দ্রে লোকসমাগম হয়েছিল ৫শ জনের মত। এর আগের শুক্রবার হয়েছিল প্রায় ৯শ পর্যটক। বিশেষ করে থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকেরা লঞ্চসহ নানা ধরণের নৌযানে করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে থাকেন। থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন, নতুন বছরকে বরণ করতে অনেকেই দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন সুন্দরবনে। সুন্দরবনের করমজল, হাড়বাড়িয়া, হিরণ পয়েন্ট, কটকা, কচিখালী, নীলকমল, বঙ্গবন্ধুরচর ও দুবলাসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলো বিপুল সংখ্যক পর্যটকদের আনাগোনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। হঠাৎ করে লোকজনের আনাগোনা বাড়ায় তাদেরকে নিরাপত্তা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বনবিভাগের কর্মকতার্-কর্মচারীদেরকে। পর্যটকদের আগমন বাড়ায় খুশি পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা। তাদের বলছেন, বছরের প্রথম দিনে যেমন পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে,এমন অবস্থা যেন সারা বছর জুড়েই থাকে। তাহলে তাতে তারাসহ লাভবান হবেন বনবিভাগও।
করমজল পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্ মো: আজাদ কবির বলেন, নতুন বছরের প্রথম দিনে সুন্দরবনে পর্যটকদের আগমন বিগত দিনগুলোর তুলনায় অনেক বেড়েছে। এছাড়া থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপনেও অনেকে সুন্দরবনের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। তাদের নিরাপত্তায় বনবিভাগ সবার্ত্মক সহযোগীতা করে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত