এম, নুরুন্নবী, তজুমদ্দিনঃ দ্বীপ জেলা ভোলার লালমোহন ও তজুমুদ্দিন উপজেলার মেহনতি ও খেটে খাওয়া মানুষের বন্ধু ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেছেন, বাংলাদেশের সকল উন্নয়নই আওয়ামীলীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই হয়েছ। মানুষের ঘরে এখন আর ভাতের অভাব নেই। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, পুরো ঢাকা জুড়ে ফ্লাইওভার, উড়াল সেতু, সহ বাংলাদেশের যত উন্নয়ন সবই বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বেই হয়েছে।
বুধবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনী ও আশ্রয়ন প্রকল্পের ১৫ হজার সুবিধাভোগীর সাথে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের মধ্যে এক মিলনমেলা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশ ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে এগিয়ে চলছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা নিন্ম আয়ের মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনী ও আশ্রয়ন প্রকল্পসহ নানান সুবিধা দিয়ে নিন্ম আয়ের মানুষের অভাব দূর করেছেন। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, রেশন কার্ড, মাতৃত্বকালীন ভাতা সহ সমাজের গরীব অসহায় মানুষদেরকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধার মধ্য দিয়ে তাদের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি করেছেন। তাই দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে পুনরায় আওয়ামীলীগ সরকারকে নির্বাচিত করে দেশ পরিচালনার সুযোগ করে দেয়ার জন্য সকলের কাছে দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভ দেব নাথের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ আরিফুজ্জামান বলেন, আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে আশ্রহীন মানুষকে আশ্রয়ের ব্যাবস্থা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী যা বলেন তা বাস্তবায়ন করেন। তিনি স্মার্ট বাংলাদেশের ঘোষনা দিয়েছেন ২০৪১ সালের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করবেন।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভোলার পুলিশ সুপার মোঃ মাহিদুজ্জামান( বিপিএম), তজুমদ্দিন উপজেলা চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন দুলাল, উপজেলা আওয়ামীলীগের ফখরুল আলম জাহাঙ্গীর, সাধারন সম্পাদক ফজলুল হক দেওয়ান, ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল্যাহ কিরন, মেহেদী হাসান মিশু, আবু তাহের মিয়া, মো: রাসেল মিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন পোদ্দার ও কোহিনুর বেগম শীলা, আ’লীগ নেতা মামুন আহম্মেদ ও ইসতিয়াক হাসান প্রমুখ।
সমাবেশে উপজেলার ৫ ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ড হতে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন প্রকল্পের প্রায় ১৫ হাজার সুবিধাভোগী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তাদের মধ্য হতে অনেকেই নিজেদের দিন বদলের গল্প শোনান। অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে নিজেদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি ও মাথা তুলে দাড়ানোর ব্যবস্থা করায় প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তাদের অনেকেই আবারও শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান বলে জানান।
উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা জেলে কবির হোসেন বলেন, আগে মেঘনায় ইলিশ শিকারের জন্য গেলে ডাকাতের কবলে পড়ে আমাদের সহায় সম্বল হারাতে হতো। এখন নদী ডাকাত মুক্ত হয়েছে। মৎস্য আহরনে নিষেধাজ্ঞা থাকলে এসময় আমাদের চাল দেয়া হয়।
ভিজিএফ সুবিধাপ্রাপ্ত সোনাপুর ইউনিয়নের নার্গিস বেগম জানান, “সংসারে আয় রোজগার কম ছিলো। ছেলে মেয়ে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হতো। এখন চাউল কিনতে হয়না। শেখ হাসিনা এখন আমার মতো শতশত হতদরিদ্রদের জন্য জিজিডি ব্যবস্থা করেছেন। শেখ হাসিনাকে আল্লাহ সুস্থ রাখুন”।
আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পেয়ে জাহানারা বেগম জানান, “নদী ভাঙ্গনের কারনে বেড়িবাঁধের পাশে কিছুদিন আশ্রয় নিয়েছি। এমপি শাওন একদিন বেড়িবাঁধে কম্বল নিয়ে আসার পর তার সহযোগিতা চাই। পরে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। এখন সবাইকে নিয়ে ভালো আছি। এজন্য শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাই”।
তৃতীয় লিঙ্গের সুবিধাভোগী মনির হোসেন মনি বলেন, “শেখ হাসিনার কারনে আজ আমরা পরিচয় পত্র পেয়েছি। আমাদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত হয়েছে। আগে বাজারে বাজারে গিয়ে টাকা তুলতাম। এখন ভাতার টাকা পাই প্রধানমন্ত্রীর জন্যই আমরা আজ সমাজে স্বীকৃতি পেয়েছি।”
কৃষক মো: শাহজাহান জানান, “করোনাকালীন কৃষি উপকরণ ও পন্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমি তখন বেকার হয়ে পড়ি। পরে দেখলাম এমপি শাওন কৃষকদের প্রনোদনা ও উপকরণ দিচ্ছেন। পরে আমি তার কাছে গেলে আমার নামও অন্তর্ভুক্ত করে দেয়ায় আমি এখন সফল কৃষক। শেখ হাসিনার মতো একজন কৃষি বান্ধব ব্যক্তির কাছেই বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা নিরাপদ।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত