এইচ এম জাকিরঃ ভোলার বোরহানউদ্দিনে চুরি হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই প্রায় ২৫ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেছেন বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ। এ সময় চুরির কাজে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে কাজের বুয়া (গৃহকর্মী) ইয়াসমিন বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃত ইয়াসমিন বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতুবা গ্রামের রুহুল আমীনের স্ত্রী।
বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ জানান, আসামি ইয়াসমিন বাদী তাসলিমা বেগমের কাজের বুয়া ছিলেন। ১৭ দিন ধরে তিনি সেই বাসায় বুয়া হিসেবে কাজ করেছিলেন।
শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে কাজ করতে গিয়ে তাসলিমা বেগমের ঘরের আলমারির নিচে গচ্ছিত থাকা তার ২৪.৮ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায় কাজের বুয়া ইয়াসমিন।
যাঁর মধ্যে ছিল ২.৫ ভরি ওজনের ৩টি চেইন, ৭ ভরি ওজনের ১৩ জোড়া কানের দুল, ৬ ভরি ওজনের ২টি নেকলেস, ৪ ভরি ওজনের ২ জোড়া রুলী, ২৭টি আংটি, ৫ আনা ওজনের ১টি ব্রেসলেট। যাঁর বাজারমূল্য প্রায় ২৩ লাখ টাকা।
এরপর তাসলিমা বেগম ঘরে স্বর্ণালংকারের ব্যাগটি দেখতে না পেয়ে প্রথমে ইয়াসমিনকে জিজ্ঞেসাবাদ করে। কিন্তু ইয়াসমিন চুরির বিষয়টি অস্বীকার করায় রাতেই তিনি বাদী হয়ে সন্দেহজনক ভাবে ইয়াসমিনকেই আসামি করে থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ মামলাটি আমলে নিয়ে রোববার (৩০ জুলাই) ওই কাজের বুয়াকেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বোরহানউদ্দিন থানায়। এরপর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার বাড়ির বাগানের মধ্য থেকে চুরি করা স্বর্ণালংকারের ব্যাগটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে বাদীর দায়ের করা মামলায় ইয়াসমিনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনির হোসেন বলেন, চুরির ঘটনাটি নিয়ে যদিও আমরা খুবই দুঃশ্চিন্তায় ছিলাম, এরপরও কোন ভাবেই হাল ছাড়িনি। অবশেষে কাজের বুয়াকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদেই আর স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে আসছে চুরি করার ঘটনাটি। এরপর স্বর্ণালংকার উদ্ধারের পর এর মালিকের দায়ের করা মামলার আসামী কাজের বুয়াকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয় বলে জানান তিনি।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত