চরফ্যাশন প্রতিনিধিঃ ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার দুলারহাটে ফিরোজা বেগম নামের এক নারীকে প্রকাশ্যে এলোপাথাড়ি মারধরের ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার বিকাল ৫ টার উপজেলার দুলারহাট থানাধীন নুরাবাদ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মোঃ সেরাজল ইসলামের বাড়িতে। ঘটনার পরপরই রাতে ফিরোজা নিজেই বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামি করে দুলারহাট থানায় মামলার দায়ের করেন। এরপর পুলিশ শাহিন ও ফিরোজ নামের দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেন।
ভুক্তভোগী ফিরোজা জানান, অভিযুক্ত নুরনবী, কবির, শাহিন, ফিরোজ, আয়শা, সাথী ও খতেজারা তার আত্মীয় এবং একই বাড়িতে তারা বসবাস করেন। দীর্ঘদিন যাবতই তাদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। এ নিয়ে আদালতে মামলাও হয়। মঙ্গলবার ওই মামলার হাজিরা ছিলো। তার বাবা সিরাজল মামলার হাজিরা দিয়ে বাড়িতে আসতেই নুরনবী, কবির, শাহিন, ফিরোজ, আয়শা, সাথি ও খতেজা ক্ষিপ্ত হয়ে তার বাবা সিরাজলকে মারধর শুরু করেন। বাবাকে বাঁচাতে মেয়ে ফিরোজা ছুটে আসলে তাকেও মারধর করে শাহিন ও ফিরোজ।
মারধরে সেরাজল, সুমাইয়া, মরিয়ম ও ফিরোজা গুরুতর আহত হয়। পরে আহতদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই ফিরোজা বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামি করে দুলারহাট থানায় একটি মামলার দায়ের করেন।
পরবর্তীতে পুলিশ শাহিন ও ফিরোজ নামের দুইজনকে গ্রেফতার করে।
ফিরোজা আরো জানান, কে বা কারা এই মারধরের ঘটনাটি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়েছে এই বিষয়টি তাদের কারোরই জানা নেই।
অভিযুক্তরা পলাতক থাকার কারণে তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
বিষয়টি নিয়ে দুলারহাট থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মুহিবুল্লাহ জানান, মঙ্গলবার রাতে মারধরের ঘটনায় ৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ফিরোজা বেগম। এরপর শাহিন ও ফিরোজ নামের দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদেরকেও গ্রেফতারের ব্যাপারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত