চরফ্যাশন প্রতিনিধিঃ ভোলার চরফ্যাশনে দুই স্কুলের দ্বন্দের জের ধরে ভোর রাতে কো-ইড বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাংচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার রাতে কো-ইড সংস্থার পরিদর্শক এনএম আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে ৫ জনসহ অজ্ঞাত তিন জনকে আসামী করে দক্ষিণ আইচা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
শুক্রবার ভোর রাতে বিদ্যালয়ের টিনসেট ঘরটি ভেঙে নিয়ে যান প্রতিপক্ষরা। এঘটনায় রোববার বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা স্কুল ফিরে পেতে ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের স্কুল সংলগ্ন এলাকায় মানববন্ধন করেন।
মামলা সুত্রে জানাযায়, ২০০৬ সনে চর মানিকা ইউনিয়নের চর আইচা গ্রামের বেসরকারী কো-ইড সংস্থার আর্থয়ানে ওই গ্রামে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ ১৭ বছর ৫ জন শিক্ষক দিয়ে স্কুলটি পরিচালিত হয়ে আসছে। সম্প্রতি সময়ে ওই বিদ্যালয় এলাকায় ঘূর্ণীঝড় কাম সাইক্লোন সেল্টার নির্মান হলে ওই খানে ওই স্কুলটির পাঠদান চালু রাখার কথা থাকলেও কো-ইড বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বশির উল্লাহ মিয়া ওই ঘূর্ণীঝড় কাম সাইক্লোন সেল্টার নতুন করে পূর্ব চর আইচা আদর্শ বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে একটি বিদ্যালয় চালু করেন। এনিয়ে দুই স্কুলের মধ্যে দ্বন্দ শুরু হয়। এবং বশির উল্লাহ মিয়ার প্রতিষ্ঠিত নতুন স্কুলটিতে শিক্ষার্থী শুন্য থাকায় কো-ইড বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের ভাগিয়ে নিতে গত শুক্রবার ভোর রাতে স্থানীয় প্রভাবশালী বশির উল্লাহ মিয়ার নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের টিনসেট ঘরটি ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে অন্যত্র নিয়ে যান। এবং বিদ্যালয়ে আলমিরা টেবিল চেয়ার ও শিশুদের বেঞ্চ ও প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র ছিনিয়ে নেন।
রোববার সকালে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে এসে স্কুল ঘর না দেখে তারা ওই এলাকায় মানববন্ধন করেন।
মামলা দায়েরের খবরে অভিযুক্ত বশির উল্লাহসহ তার ছেলেরা পালিয়ে যাওয়ায় কারো বক্তব্য জানায়ানি।
দক্ষিণ আইচা থানার ওসি মো. শাখাওয়াত জানান, এঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো আসামী গ্রেফতার না হলেও আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত