শাহাবুদ্দিন হাওলাদার, চরফ্যাশনঃ নিজ ঘরের কোনে মেহেদী গাছে ঝুলছে সুমাইয়া (৭) নামে এক শিশুর মরদেহ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গাছ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) রাত ৮ টার দিকে দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের শাহে আলম মাস্টার বাড়িতে। মৃত শিশু সুমাইয়া ওই গ্রামেরই বাসিন্দা মো. জামালের মেয়ে।
শিশু সুমাইয়ার মা তাছলিমা বেগম জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার পর প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাহিরে যায় শিশু সুমাইয়া। কিছুক্ষণ পর শিশুটির বাবা জামাল হোসেন বাজার থেকে বাড়িতে এসে তাকে দেখতে না পেয়ে বিভিন্ন দিকে খোঁজা-খুঁজি শুরু করেন। এক পর্যায়ে ঘরের কোনে একটি মেহেদী গাছের সাথে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলতে দেখেন শিশু সুমাইয়াকে। এমন মর্মান্তিক দৃশ্য দেখে বাবা জামাল ডাকচিৎকার শুরু করেন। একপর্যায়ে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে পুলিশকে খবর দেয়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গাছ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।
যদিও ঘটনাটিকে আত্মহত্যা হিসেবে দেখার পাশাপাশি শিশুটি জন্মের পর থেকেই নাকি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলো বলেও দাবি করছেন শিশুটির পরিবারের সদস্যরা।
তবে পুলিশের সন্দেহ অন্য কিছু। তারা বলছেন, এতো ছোট শিশু এ ধরনের কাজ করার পিছনে কোন কারণ বা উদ্দেশ্য থাকতে পারে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে পরিবারের পক্ষ থেকে তেমন কোন কারণ না পাওয়াতেই ঘটনাটিতে বিভিন্ন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তাই ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠান।
এবিষয়ে সহকারি পুলিশ সুপার (চরফ্যাশন সার্কেল) মোহাম্মদ মেহেদী হাসান জানান, ঘটনাটি শোনার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে এসেছি এবং শিশুর পরিবার ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছি এবং সবকিছু দেখে মৃত্যুর কারণ নিয়ে একটু সন্দেহ হয়েছে।
আমরা মরদেহটি উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর আসল কারণ যানা যাবে। এ ঘটনায় শশীভূষণ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি ।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত