ফুরালো অপেক্ষার পালা। লম্বা ১০ মাসের করোনা বিরতির পর হোম অব ক্রিকেটে ফিরল প্রাণ। এতদিন পর জাতীয় দলের সতীর্থদের একসঙ্গে পেয়ে যক্ষের ধন ফিরে পাবার মতো তৃপ্তি সবার চোখেমুখে।
আবেগে যতটা আপ্লুত, ততটাই সিরিয়াস অনুশীলনে। শুরুতে একটি মিটিং, তারপরেই নেমে পড়লেন গা গরম করতে। শীতের সকালে মনটা তো উষ্ণ ছিলই, শরীরের জড়তাটাও কেটেছে দ্রুত।
এরপরই ক্রিকেটাররা যার যার অস্ত্র হাতে নেমে পড়লেন ২২ গজে। উইলো হাতে সেন্টার উইকেটে তামিম-সাকিব মুশফিকরা বরাবরের মতই আত্মবিশ্বাসী। নিজেদের শটগুলো আরো একবার ভালো করে দেখে নিয়েছেন মিঠুন-নাঈম শেখরাও।
তবে করোনাকালে যেন বাড়তি প্রাণের সঞ্চার পেসারদের মাঝে। বেশ লম্বা সময় বোলিং করলেন তাসকিন-শরিফুলরা। গুরু ভেট্টরি না থাকলেও দেশি কোচ সোহেলের সঙ্গে কাজ করেছে স্পিন বোলিং ইউনিট। শেষে একসঙ্গে ফিল্ডিংটাও ঝালিয়ে নিয়েছেন টাইগাররা। দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে ভালো করতে প্রস্তুতি ম্যাচগুলো গুরুত্বপূর্ণ মানছেন ক্রিকেটাররা।
টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, আমরা একটা টুর্নামেন্ট খেললাম, তার আগে প্রেসিডেন্টস কাপেও কমবেশি সবাই খেলেছি। যে জায়গাগুলোতে কাজ করা দরকার সেগুলো নিয়ে প্র্যাকটিসে কথা হয়েছে। প্রস্তুতি ম্যাচগুলো ভালোভাবে খেলতে পারলে কাজটা সহজ হবে।
বাংলাদেশ যখন ব্যস্ত নিজেদের প্রথম দিনের অনুশীলনে, তখন ঢাকার মাটিতে কেবল পা রেখেছেন ক্যারিবিয়ানরা। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল তাকে বহনকারী চার্টার্ড বিমান অবতরণ করে সাড়ে দশটা নাগাদ।
বরাবরের মতো ছিল আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা। করোনাকালীন নিয়ম-নীতি, আর ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষ করে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর হোটেলের উদ্দেশে রওনা করে ক্যারিবিয়ানরা। যেখানে আগামী তিনদিন কোয়ারেন্টাইন এ থাকতে হবে টাইগারদের বিপক্ষে লড়তে আসা অতিথিদের।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত