এইচ এম জাকিরঃ আর নয় লুটপাট জমি দখল, দৌলতখান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হবেন আনিসুর রহমান বাবুল। এমনই চিত্র দেখা গেছে ভোলার দৌলতখান উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের সাধারণ ভোটার ও জনগণের মাঝে। সম্প্রতি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছেন সৎ নিষ্ঠাবান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আনিসুর রহমান বাবুলকে।
বহু বছর যাবত বর্তমান চেয়ারম্যান কতৃক বিভিন্নভাবে নির্যাতন নিপীড়ন সহ বিভিন্ন দখলদারির কারণে ওই উপজেলার সাধারণ জনগণ একেবারেই অতিষ্ঠ। যদিও দলীয় প্রতীকের কারণে এতদিন দলের কথা বিবেচনা করে জনগণের রায় দলের বিপক্ষে দিতে না পারলেও এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় জনগণের রায়ের প্রতিফলন ঘটবে বলে মনে করছেন তারা। তাই তাদের পছন্দের প্রার্থী পুরাতনকে ঝেড়ে ফেলে নতুন প্রার্থী হিসেবে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক আনিসুর রহমান বাবুলকেই বেছে নিয়েছেন তারা।
সারেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দৌলতখান উপজেলার প্রতিটি হাটবাজার দোকানপাট হোটেল রেস্তোরা সহ সর্বত্রে মানুষের মাঝে দেখা গেছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা। অধিকাংশরাই বর্তমান চেয়ারম্যান মঞ্জুর খানের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে তার বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি চিত্র তুলে ধরেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভোটাররা জানান, বর্তমান চেয়ারম্যান মঞ্জুর খান দুই ট্রাম নির্বাচনে নিজের পকেট ভারি করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া ছাড়া জনগণের জন্য তিনি কিছুই করেননি। দৌলতখানের যত বড় বড় কাজ রয়েছে অধিকাংশ কাজই ক্ষমতার বলে তিনি একক ভাবে করে গেছেন। এমনকি নিম্নমানের কাজের মধ্য দিয়ে কামিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। তার দাপটে স্থানীয় কোন ঠিকাদারই কাজ করার কোন ধরনের সুযোগ পায়নি। সর্বসময় নিজেকে স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে রাখতে দলীয় অন্যসব নেতাকর্মীদেরকে দুরে রাখতে সংসদ সদস্যকে রীতিমতো কানপড়া দিয়ে গেছেন। বিভিন্ন মানুষের জায়গা জমি দখলের মধ্য দিয়ে নির্মাণ করেছেন নিজস্ব মার্কেট সহ বিভিন্ন স্থাপনা।
তাই অতীতের নির্বাচন গুলোতে দলীয় প্রতীক হওয়ায় অধিকাংশ ভোটাররাই দলের প্রতি আন্তরিকতা ও ভালোবাসার কারণে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তাদের অপছন্দের হলেও বাধ্য হয়েই তারা তাকে নির্বাচিত করেছেন।
এবার দলীয় প্রতীক না থাকায় আগেভাগেই পুরো দৌলতখান উপজেলার ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থী হিসেবে আনিসুর রহমান বাবুলকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে ইতোমধ্যেই জোরালোভাবে তার পক্ষে মাঠে কাজ করা শুরু করেছেন।
ভোটাররা মনে করছেন, তাদের পছন্দের প্রার্থী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আনিসুর রহমান বাবুল যদি তাদের জন্য কিছু করতে নাও পারেন তবুও জনগণের জায়গা জমি সহ উপজেলায় আসা বাৎসরিক বিভিন্ন বরাদ্দের টাকা লুটপাট করে খাবে না। তাই জনগণ তাদের যোগ্য প্রার্থী হিসেবে আনিসুর রহমান বাবুলকেই বেছে নিয়েছেন।
আসন্ন দৌলতখান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মাঠে থাকবেন কিনা এমন প্রশ্নে আনিসুর রহমান বাবুল বলেন, একজন মানুষের চলার জন্য যতটুকু প্রয়োজন আল্লাহ আমাকে তার চেয়েও বেশি দিয়েছেন। আমি সব সময়ই ব্যবসার পাশাপাশি সমাজের অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি, এমনকি তাদের জন্যই কাজ করে যাচ্ছি। আমার দ্বারা সাধারণ জনগণ কোন ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি। যতোটুকুই সম্ভব আমি মানুষের জন্য করার চেষ্টা করেছি। তাই জনগণ যদি আমাকে ভালোবেসে আমার কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট হয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমাকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে যোগ্য মনে করেন, অবশ্যই আমিও তাদের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে তাদের মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে পুরো দৌলতখান উপজেলাবাসীকে সাথে নিয়ে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একজন প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে থাকবো ইনশাল্লাহ।
(চলবে)
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত