ডেক্স রিপোর্টঃ শুরুতেই পিছনের পরাজয়ের গ্লানি মাথায় নিয়ে দুর্দান্ত বোলিংয়ে অনেকটাই চাপের মধ্যে পড়ে গেল আফগানরা। সেই চাপ আর কাটিয়ে উঠতে না পেরে অবশেষে ৭ উইকেটে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ালো বাংলাদেশ।
টসে হেরে বল হাতে নেমেই শুরুতেই কেমন যেন বাংলাদেশের বোলাররা জ্বলে উঠেছে। টাইগার বোলারদের তোপে আফগানিস্তান গুটিয়ে যায় মাত্র ১২৬ রানে। জবাবে খেলতে নেমে লিটন দাস ও সাকিব আল হাসানের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ৭ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে টাইগাররা।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি। আগে ব্যাটিং করতে নামা আফগানিস্তান পুরো ইনিংসজুড়ে ধুঁকেছে। শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, সাকিব আল হাসানদের দারুণ বোলিংয়ের বিপক্ষে কেবল আজমতউল্লাহ ওমরজাই লড়াই করতে পেরেছেন। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন ওমরজাই। ৪৫.২ ওভারে ১২৬ রানে গুটিয়ে যায় আফগানদের ইনিংস।
১২৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। অনেকদিন পর জাতীয় দলে ফিরে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি ওপেনার নাঈম শেখ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২১ বলে ৯ রান করার পর; তৃতীয় ওয়ানডেতে ৮ বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। তিনে এসে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি বাঁহাতি ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্তও। ফারুকির বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ১৫ বলে দুই বাউন্ডারিতে করেন ১১ রান।
এরপর সাকিব আল হাসানকে নিয়ে ৬১ রানের জুটি গড়েন লিটন। দলীয় ৮৯ রানে সাকিব মোহাম্মদ নবির বলে আউট হলে ভাঙে সেই জুটি। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে বাহাতি এই ব্যাটার ৫ বাউন্ডারিতে ৩৯ বলে করেন ৩৯ রান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের পর তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ১৪ হাজার আন্তর্জাতিক রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন সাকিব।
সাকিব বিদায় নেয়ার পর তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে বাকি কাজটুকু সারেন লিটন। ২ ছক্কা ৩ বাউন্ডারিতে ৬০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করে মাঠ ছাড়েন ডানহাতি এই ব্যাটার। তাওহিদের ব্যাট থেকে আসে ১৯ বলে অপরাজিত ২২ রান।
আফগানদের হয়ে ৫ ওভারে ২৬ রান খরচ করে ২ উইকেট নেন ফজল হক ফারুকি। একটি উইকেট শিকার করেন স্পিনার মোহাম্মদ নবি।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত